Onek chesta koreci but parini
বৃহস্পতিবার, ৩০ মে, ২০১৩
মঙ্গলবার, ২৮ মে, ২০১৩
আমার নাম "রুমা আক্তার" ! বযস "অনুমান করে নিন" ! আমি তিন সন্তানের জননী ! আমার বর ১৩ মার্চ ২০০২ সালে ব্রেইন স্ট্রোক করে মারা যান ! তার বযস ছিল ৪৫ বছর ! পেশায় সে ছিল ইঞ্জিনিয়ার ! আমার তিন মেয়ে আছে ! ওদের কথা ভেবে আর বিয়ে করলাম না ! আমি পেশায় একজন শিক্ষিকা ! আমি রাজধানীর একটি নামকরা স্কুলে পদার্থ বিজ্ঞান পড়াই !
প্রতেক মানুসেরই একটা কমল মন থাকে ! এর একদিক ভালো আবার অন্য খুব খারাপ হতে পারে ! যে যত শিক্ষিতই হোক না কেন তার ভেতরে আবেগ অনুযোগ থাকবেই !এতে দোষের কিছু নেই ! কথা বুকে চেপে রেখেছি সারা জীবন ! ভেবেছি কোনো দিন কাউকে বলব না ! এখন ভাবছি এটা ভুল !
এখন আমার মনে হয়, আমার জীবনের সব ঘটে যাওয়া সত্য ঘটনা প্রকাশ করা দরকার ! এ থেকে কোনো মানুসের সামান্য উপকারে আসে ক্ষতি কি !
সত্য ঘটনা প্রকাশ করতে সবারই ভয় লাগে তবে আমার কেন লাগবে না আমিতো অসহায় নারী মাত্র ! তাই আমি আমার রিয়েল ফটোটা বেবহার করলাম না ! এজন্য আপনাদের কাছে দু জোরে ক্ষমা চেয় নিলাম !
আমি এক সময় অত্তহত্তা করতে চেয়েছিলাম ! সুধু আমার মেয়দের মুখের দিকে তাকিয় ফিরে এসেছি ! আজ আমি আপনারে আমার ছোট বেলার কথা বলবো !
সত্যি কথাগুলো লিখছি কেব খারাপ দৃষ্টিতে দেখবেন না!
আমার বয়্স যখন ৯ তখন কি হলো শোনেন ! তখন আমি ক্লাস ৪ এ পড়ী !
বেলে ২ টা বাজে ! আমি স্কুল থেকে বাড়ী ফিরছিলাম, হঠাত রাস্তার ওপাশে কেমন যেন একটা শব্দ পেলাম ! আমি একা হাত ছিলাম ভর দুপুর রাস্তায় আর কোনো মানুষ ছিলনা ! আমি ভয় পেলাম ! পরে খুব সাবধানে সামনে এগিয় মানুসের কথার শব্দ পেলাম ! ঝোপের আড়ালে করা যেন কথা বলছে ! খুব ভালো ভাবে খেয়াল করে শুনলাম একটা ছেলে কথা বলছে ! প্রথমে আমি ভয় পেলাম , কারণ আমিতো একা !পরে সুনলাম একটা মেয় মানুসের কন্ঠ তখন আমার ভয় কিছুটা কেটেগেলো !
তার পর খুব খিয়াল করে শুনলাম মেয়টা না না করছে ! আমার মনে প্রশ্ন দেখা দিল ! আমি আস্তে আস্তে সামনে এগিয় যা দেখলাম , তাতে আমার মাথা ঘুরে গেলো ! আমাদের স্কুলের টেন এর ক্লাসের ভাই আর বিউটি অপ ! তারা এখানে কি করছে আমি বুঝে উঠতে পারছিলাম না ! দেখলাম বিউটি অপুকে রাসেদ ভাইয়া জোরে তার বুকের সাথে চেপে ধরেছে, কিন্তু কেন তা বুঝলাম না !
আমর বয়্স যখন ১১ বছর তখনকার একটা ঘট না!
স্কুল বন্ধ আমি মায়ের সাথে কিছু কাজ করলাম, দুপুরের গরমে অতিষ্ট হয় মাঠের কাছে বাতাসে এসে দাড়ালাম ! অনেক বাতাস আমি আম নিচে বসে বাতাস খাচ্ছিলাম ! হঠাত মাঠের কাছে শব্দ পেয়ে তকালাম , দেখলাম একটা বড় গরু একটা চত গরুর পিঠে উঠে পরেছে , আমি সুধু তাকিয় দেখলাম কি হয় ! দেখলাম বড় গরুটার পেট থেকে একটা বড় লাঠির মত কি যেন বের হলো ! বড় গরুটা চত গরুটাকে খুব করে চেপে ধরেছে ! একটুপরে দেখলাম ওই বড় লাঠিটা আর দেখছি না ! ওটা ছোট গরুটার পিছন দিকদিয়ে ঢুকিযে দিয়ছে ! আমি খুব অবাক হলাম , অত বর লাঠিটা পেটে ঢুকিয় দিলো ! এর পর যা দেখলাম তা অবাক করার মত ! ওদিকে মা ডাকছে ! তারাতারই চলে গেলাম, ভাবলাম মা এসে যদি দেখে যে আমি এসব দেখছি তাহলে বকবে ! আমি সুধু অবাক হলাম নিচের ছোট গরুটা পালাচ্ছিল না, ও চুপ করে দাড়িয়ে ছিল !এতে আমি আরো বেসি অবাক হলাম, আর সারা রাত সুধু এগুলো ভাবলাম !
তখন বর্ষাকাল, আমার বয়স ১৩ হবে ! মা আমাকে বলল যা গোসল (স্নান) করে আয়, আর পুকুর থেকে কিছু শাপলা তুলে আন ! আমি অনেক হলাম ভিজে পুকুরে গোসল করব আর শাপলা তুলব কি মজা ! যে কথা সেই কাজ ! খেয়ে দেয়ে বিকেলে ঘুমাচ্ছিলাম , পেতে একটু ব্যথা অনুভব করলাম ! উঠে , টয়লেটে গেলাম ! দেখি অনেক রক্ত, দেথে আমার মাথা ঝিম ঝিম করতে লাগলো ! কোন রকম ঘরে ফিরে সব বললাম ! আমি বললাম, মা আমার পেটে জোক ঢুকেছে, মা আমি মরে যাব !আমিযে দুপুরে পুকুরে গোসল করেছি তখন এই কাজ হয়ছে ! মা শুনে তারাতারি নানুকে ডাকলেন ! নানু আমাকে সাহস দিচ্চে , কিন্তু আমার কান্না থামায় কে ! আমি জোরে জোরে কাদছিলাম ! পরে আমাকে একটু চুনের পানি আর চিনি দিয়ে শরবত বানিয়ে খাওয়ালেন ! সবাই কানে কানে কিযেন বলাবলি করছে , আর অমিত ভয়ে শেষ ! আমার খুব রাগ হোচ্ছিল, যে আমি মরে যাব আর কারো কোনো চিন্তা নেই ! সন্ধে বেলা নানু আমাকে বলছে চিন্তা নাই এবার বিয়ে দিয়ে দেব ! এ শুনে আমি নানুর উপর আরো রেগে গেলাম !পরের দিন সকালে দেখলাম একই ভাবে রক্ত যাচ্ছে বুট আমি বেছে আছি, কিন্তু আমার ভয় কমছে না।
সেবারের মতো বেচে গেলাম, এক মাস পর, হঠাত আবার একই অবস্থা ! তখন আমার এক বান্ধবীর মাধমে জানতে পারলাম যে , আমার পেতে এমন জোক ঢুকেছে যে , প্রতি মাসেই এমন হতেই থাকবে ! এটাকেই বলে নাকি 'সামার ভেকেশন "!
এমন বাঝে লেখা পরে পাঠকরা আমার নাম জানতে চাইবেন, কিন্থু দুখিত ! সেটা আর সম্ভব না!
আমার এক ভাবির কাছ থেকে একটা গল্প শুনেছিলাম, দুই বন্ধু গল্প করছে , একজন অন্য জনকে বলছে তু্ই যদি নাংটা হয়ে রাস্থা দিয়ে হেটে আসতে পারিস তাহলে তোকে ১০,০০০ টাকা দেবো ! যেইকথা সেই কাজ, সে লুঙ্গিটা দিয়ে মুখিয়ার মাথা ভালো করে ঢেকে সোজা রাস্থা দিয়ে হেটে আসলো ! সবাইতো অবাক , একি কান্ড ! অন্যরা সবাই ভাবলো এটা পাগল যাচ্ছে , কেউ ফিরেও তাকালো না তার দিকে ! আর বন্ধুটি তার বুদ্ধির কাছে হার মানলো!
আমিও তাই আমর পরিচয় গোপন রেখে আমার মনের সব কথা প্রকাশ করে দিলাম, এতে কেউ মজা পাবে কেউ শিখবে !
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)